0
বায়োগ্রাফি : শ্যামসুন্দর সিকদার শরীয়তপুর জেলার নাড়িয়া উপজেলার লোনসিং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ১৯৬০ সালের ১০ জানুয়ারি। তাঁর পিতার নাম গিরেন্দ্র মোহন সিকদার, মাতা কৃষ্ণদাসী সিকদার। শ্যামসুন্দর সিকদার একাধারে কবি, কলামিস্ট ও গবেষক। তাঁর লেখায় মানবতা, দেশপ্রেম, সমকালীন জীবন, প্রকৃতি ও সমাজ ব্যবস্থা, স্থানীয় ইতিহাস-ঐতিহ্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা অসাধারণভাবে ফুটে ওঠে। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে অন্যতম হলো জলে জলে সমুদ্র, অনাহারী অতিথি কাক, হৃদয়ে হৃদয়ে যুদ্ধ, ভালোবাসার বেহুলা, মেঘে মেঘে বিজলির চমক, নির্বাচিত ১০০ কবিতা, গোলাপের কাছে যাবো, নীল খামে ডিজিটাল ভালোবাসা, আঁচলে একে দেবো মানচিত্র (কবিতা) । প্রবন্ধ তালিকায় রয়েছে মা মাটি মানুষ ও সমকালীন প্রসঙ্গ, ডিজিটাল এবং বাংলাদেশঃ রূপকল্পের অন্তরূপ।মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ হলো একাত্তরের জীবন ও যুদ্ধ। গল্পগ্রন্থের নাম ভালোবাসার নির্বাসন। ভ্রমণ কাহিনি রয়েছে জাপানঃ ভূমিকম্পের সঙ্গে সহাবস্থান। ছড়ার বই ইচ্ছে ডানা। লিখেছেন শিশু কিশোরদের জন্য সাইবার নিরাপত্তা ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে সতর্কতা। গবেষণার বই হলো রাঙ্গামাটিঃ বৈচিত্রের ঐক্যতান, বিসিকের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ, শরিয়তপুরের ইতিবৃত্ত। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাঁর কয়েকটি গ্রন্থ রয়েছে। শ্যামসুন্দর সিকদারের কর্মজীবন বর্ণাঢ্য ও বিচিত্র। শুরু করেন শিক্ষকতা দিয়ে, শেষ করেন সরকারের সর্বোচ্চ আমলা হিসেবে। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৮৬ সালে প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান এবং মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন কৃতিত্বের সাথে। ২০১৪ সাল হতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং ২০১৭ সাল হতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে যথাক্রমে সচিব ও সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্মর্তব্য, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়ায় তার ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। শ্যামসুন্দর সিকদার গত ১০ জানুয়ারি, ২০১৯ সাল হতে দীর্ঘ কর্মজীবন থেকে অবসর লাভ করেন। ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ সালে তিনি চার বছরের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে সজ্জন শ্যামসুন্দর ভালোবাসেন দেশ, মাটি ও মানুষকে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রয়েছে তাঁর গভীর আবেগ, বর্তমানে লেখালেখি ও ভ্রমণ হয়ে উঠেছে তাঁর প্রিয় বিষয়।