‘কঙ্কাবতী’ বাংলা সাহিত্যের একটি রসাত্মক উপন্যাস। লেখক এতে কৌতুক এবং করুণা উদ্রেক করে বিনা আড়ম্বরে আপন কল্পনাশক্তির পরিচয় দিয়েছেন। ভূত-প্রেত ও কাল্পনিক জীব-জন্তু-এর এমন এক জগৎ নির্মাণ করেছেন যার অভিনবত্ব পাঠককে রূপকথার জগতে নিয়ে যাবে। এ জগৎ থেকে ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় আমদানি করেন কঙ্কাবতীকে। উপন্যাসের প্রথম ভাগে বর্ণিত হয়েছে বাস্তব জীবনের কথা। দ্বিতীয় ভাগে লেখক তাঁর লেখা নিয়ে যান রূপকথার কল্পজগতে। এ জগৎ ঘুরে এসে তিনি ফিরে যান বাস্তবলোকে। লেখক ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় তাঁর এ উপন্যাসে বাঙালি সমাজে প্রচলিত ভ্রান্ত বিশ্বাস ও অন্ধ সংস্কারকে আঘাত করেছেন।
লেখক আনিসুল হকের ‘এই গল্পটা হাসির’ একটি মজার উপন্যাস। ভুলে ভরা ছিল কল্লোলের সেই দিনগুলো। টুথপেস্ট মনে করে শেভিং ক্রিম দিয়ে দাঁত মাজা থেকে শুরু করে বিচিত্র ধরনের ও হাস্যকর রকমের ভুল একটার পর একটা করতে থাকে কল্লোল। সেই ভুল থেকেই শুরু হয় তার জীবনের এক নতুন উত্থান পর্ব। সাফল্য আসে জীবনে, আসে ভালোবাসাও।
বইটি সম্পর্কে লেখক বলছেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চমৎকার বই আছে স্যাটায়ারধর্মী লেখার, তিনি নাম দিয়েছিলেন ব্যঙ্গকৌতুক। কিন্তু গদ্যকার্টুন আসলে রম্যতা, কৌতুক, ব্যঙ্গ আর আমার সমকালীন ভাবনার একটা মিশেল। প্রতি বছর এ ধরনের রচনাগুলোর সংকলনের একটা করে নাম দিতে হয়। এবার নাম দিলাম ‘অহেতুক কৌতুক’। কৌতুক কথাটা যদি প্রযোজ্য নাও হয়, অহেতুক কথাটা একেবারেই লাগসই হবে।’
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাবলীল বয়ান আনিসুল হকের গদ্যকার্টুন। এই গদ্যকার্টুনগুলোতে সমাজ, রাজনীতি ও দেশের বিভিন্ন ঘটনার ব্যঙ্গ চিত্র উঠে এসেছে। বিভিন্ন সময়ে লেখা গদ্যগুলো নিয়ে এই বই ‘সদ্য লেখা গদ্যকার্টুন’ গ্রন্থটি। হাসি-ঠাট্টার মধ্য দিয়ে যেন পাঠকের বোধের গভীরে নাড় দিতে চান লেখক।
একদিকে মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধের মৌল তাৎপর্যের অন্বেষণ, অন্যদিকে পোশাকি আয়োজনের প্রতি বিদ্রূপ-সব মিলিয়ে ‘বীর প্রতীকের খোঁজে’ বইটিতে লেখক আনিসুল হক, এক কমেডি অফ এররস রচনা করেছেন। একটি প্রশ্ন, ‘হঠাৎ করেই নিভে আসে উৎসবের আলো, কিন্তু কেন?’- বইটি পড়ে পাঠক কোনো শব্দের আলোয় হয়তো এই প্রশ্নের উত্তর অবলোকন করতে পারবেন না, হয়তো শুনতে পাবেন না একজন করিমন বেওয়া, মোমেনা বা সাবিনাদের বুকের ভেতর থেকে উঠে আসা আত্মচিৎকারের প্রতিধ্বনি। তবে বইটি পাঠ শেষে পাঠকের মন ঠিকই সন্ধান পাবে এক ভিন্ন জগতের, যেখানে তার ভেতরেই বসবাস করছেন করিমন বেওয়া ও আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও আমাদের দেশ।
এই গল্প ভুলের। এই গল্প ভালোবাসার। এই গল্প এক ভুলোমনা একজন অধ্যাপকের। এত ভুলোমনা যে তিনি নিজের বাড়ির ঠিকানাও ভুলে যান কখনও কখনও। আর নানা ভুলের সূত্র ধরে তার ভাগ্নে রায়হান ভালোবেসে ফেলে ছবি নামের এক তরুণীকে। কিন্তু ক্রমাগত ঘটতে থাকে ভুল। ছবি নয়, মোমেনার সঙ্গে যোগাযোগ হয় রায়হানের। হাসির কাণ্ড ঘটতে থাকে একের পর এক। হাসির গল্প তাহলে এটা! কিন্তু কী হয় শেষ পর্যন্ত? যেদিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অধ্যাপকের স্ত্রী রাশিদা? হাসতে হাসতে আর এক গভীরতর গল্প শোনান উপন্যাসের লেখক আনিসুল হক। এই ধূসর সময়ে এক উজ্জ্বল মানবিকতার গল্প।
তিনটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটের গল্প নিয়ে ‘ফাজিল’ সংকলন। ফাজিল গল্পটি সাংবাদিক বাবুর ফাজলামো নিয়ে। ঠিক ফাজলামো নয়, সহকর্মী মাসুদকে উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য বাবু ডিবি সেজে কল করে। মাসুদ ক্রিমিনালের মতো ডিবি অফিসে গিয়ে বুঝতে পারে এটা আসলে মডেল সারার বাসা। সারার একটা ইন্টারভিউ অ্যাসাইনমেন্ট দিয়েও মাসুদ তা ছাপছিল না। তাই বাবু তাদের মুখোমুখি করিয়ে দিল। বইয়ের অন্য দুটি গল্পের একটি একজন শহিদ মুক্তিযোদ্ধা কিশোরের আগমনের জন্য মায়ের অপেক্ষা নিয়ে। আরেকটি গল্প শহরে থাকা সন্তানকে দেখার জন্য পিতার আকুতি নিয়ে। সব মিলিয়ে ফাজিল একটি অনবদ্য সংকলন।
তথ্যপ্রযুক্তিকে সঠিক কাজে ব্যবহার করার বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে এ রচনায়। জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকের পাতায় বিভিন্ন সচেতনমূলক লেখা প্রকাশ করার দিকটি তুলে ধরা হয়েছে লেখক আনিসুল হকের ‘ইটি, তুমি কেমন আছ’ উপন্যাসে। ইটি ‘নাগরিকের চোখে’ নামে একটা ফেসবুক পেজ চালায়। মানুষের নানা সমস্যা নিয়ে পোস্ট দেয়। ইটি শুধু পোস্টই দেয় না, ঘটনাস্থলে নিজে যায়, ঘুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লেখালেখি করে। তাছাড়া অনেক মজার কাণ্ড উপন্যাসটিকে আরও প্রাণবন্ত করেছে; যা আনন্দ দেয়ার পাশাপাশি পাঠককে ভাবাবে পারিপার্শ্বিক ঘটনা নিয়ে।
পড়াশোনা শেষ করে ক্লাসমেট শওকতকে বিয়ে করে শান্তা। অত্যন্ত মেধাবী মেয়েটি শওকতকে বাসর রাতেই বলে দেয়, কখনো সে চাকরি করবে না। সে শুধু তার ছেলেমেয়েদের লালন-পালন করবে, আদর দিয়ে বড় করবে। এর বাইরে কোনো কাজই সে করতে পারবে না এবং তার ছেলেমেয়ের সংখ্যা হবে কমপক্ষে ছয়জন! সত্যিই শান্তা একসময় পাঁচ ছেলেমেয়ের মা হয়। সুখী এক পরিবার হয় শান্তার। কিন্তু প্রশ্ন জাগে, বিয়ের আগের জীবনে কেমন ছিলো শান্তা? কেনই-বা সে অদ্ভূত আবদার করেছিলো বাসর রাতে?
ফরাসত আলী ত্রিশ লক্ষ টাকার লটারি পেয়ে বাচ্চাদের জন্য একটা স্কুল তৈরির পরিকল্পনা করেন। এর সঙ্গে যুক্ত হলেন হারুন ইঞ্জিনিয়ার। তার আবিষ্কৃত বিশেষ ধরনের প্লাস্টিক ‘প্লাস্টিজনা’ দিয়ে স্কুলের বিল্ডিং তৈরি করবেন। স্কুল ঘরটি তৈরি করার সময় ঝড়ের পূর্বাভাস ছিলো। তাই দ্রুতগতিতে তৈরি করতে গিয়ে দেখা গেলো স্কুলটি একদিকে কাত হয়ে গেছে। নামকরণ হলো ‘পথচারী মডার্ণ স্কুল’। পথেঘাটে ঘুরে বেড়ানো শিশুরা এই স্কুলে পড়াশুনা করবে। পথচারী শিশুদের মজার মজার কাণ্ড মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘স্কুলের নাম পথচারী’ রচনাটিকে প্রাণবন্ত করেছে।
‘হুতোম প্যাঁচার নকশা’ একটি স্যাটেয়ারধর্মী রচনা। এটি উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ের কলকাতা ও তার নিকটবর্তী অঞ্চলের ধর্ম-নীতি-সামাজিক উৎসবের একটি নাতীদীর্ঘ বর্ণনা। বইয়ে লেখক নানা ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর অসামাজিক আচরণ ও রুচিবৈকল্য নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করেছেন। কলকাতার কথ্য এবং সাধু ভাষায় লেখা ব্যঙ্গাত্মক এই রচনায় সে সময়ের কিছু মজার মজার অশালীন শব্দও ব্যবহৃত হয়েছে। যা পাঠককে দিবে বাড়তি আনন্দ। রম্য রচনার এই আকাল সময়ে পুরনো এই বইটি রম্যপাঠকের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। নতুন পাঠকদের জন্য প্রথম দিকে ভাষার ধরণ বুঝতে একটু কষ্ট হলেও এক-দুইটি পরিচ্ছেদ পড়ার পর পাঠক রচনাশৈলী ধরে ফেলতে পারবেন নিশ্চিত।
ছুটির দুপুরে ক্লাবের আড্ডা তখন জমজমাট। কেউ বই পড়ছে অলসভাবে, কেউ ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ, চলছে ব্যায়ামের জন্য আরো যন্ত্রপাতি আনার আলোচনা, সাথে ঠাট্টা-মশকরা আর এক-আধটু বাঁদরামোও। এর মধ্যেই সান্টু গলা নামিয়ে রকিকে বল্লো, ওস্তাদ তোমার সীসপিয়া তুমি যাকে ডাকো লীলা বলে তিনি সব লীলাখেলা শেষ করে পরের বাড়ি চলে যাচ্ছেন। রকির ভাই রসি বলে উঠল, আমার ভাই গত এক বছর থেকে মজনু। লায়লীর কোনও রাইট নেই তাকে ত্যাগ করার বা দাগা দেবার। সেদিকে কান নেই রকির, স্বপ্ন দেখছিল সে- বিয়ের পর চলে যাবে ইটালিতে। পাহাড় আর ঝর্ণার ধারে ছোট্ট এক ভিলায় কফির পেয়ালা মুখোমুখি রেখে লীলা আর সে। সে আর লীলা। সে স্বপ্ন কি ভেঙ্গে যাবে এবার?
The Modern Traveller is an excellent satire (in verses), published in 1898. It highlights the effects of British colonialism and white savior complex with irony and sarcasm. It parodied a contemporary adventure book called “In Darkest Africa” (1890) by Henry Morton Stanley. The entire poem is an interview between a journalist of the daily Menace (probably poking at the daily Mail) and a dishonest adventurer. The so-called adventurer explained how his own heroism saves the day and the untold hardship is suffered by the natives and how unacceptably unrefined and gullible they were. The other characters who were involved in this expedition Commander Sin and Captain Blood, (fictional as well) conveniently did not survive to give their individual testimony of this whole adventure. It ends with the narrator bragging about how much he is offered for his upcoming book on this expedition.
রুল নম্বর ১: দ্য বস ইজ অলওয়েজ রাইট। রুল নম্বর ২: ইফ দ্য বস ইজ রং, সি রুল নম্বর ওয়ান। এটাই জগতের নিয়ম। বস কখনও ভুল করেন না। বস ভুল করলেও তা বলা উচিত নয়। তাহলেই উন্নতি হবে চাকরিতে। তো বস যখন সব সময় রাইট থাকেন, তখন নানা ধরনের বিপদও হয়। সেসব নিয়ে হাসির গল্প লিখেছেন আনিসুল হক। এই বই প্রধানত হাসির গল্পের বই। তবে প্রেমের গল্প কিংবা জীবনের অন্যতর উপলব্ধির গল্পও এটাতে আছে।
Items Showing 1 to 16 from 16 books results