Product Summery
এই গল্প এক অন্যরকম যুদ্ধের। যুদ্ধের সৈন্য কোনো মানুষ নয়, বরং মানুষের সৃষ্টি। যুদ্ধে হতাহত কোনো ভবন নয়, বন্দর নয়, বরং মানুষের বিশ্বাস, আর কল্পনা। এই যুদ্ধের শুরু কোথায়, তা গল্পের শেষের আগে আন্দাজ করতে পারবেন না।
এই গল্প এক অন্যরকম যুদ্ধের। যুদ্ধের সৈন্য কোনো মানুষ নয়, বরং মানুষের সৃষ্টি। যুদ্ধে হতাহত কোনো ভবন নয়, বন্দর নয়, বরং মানুষের বিশ্বাস, আর কল্পনা। এই যুদ্ধের শুরু কোথায়, তা গল্পের শেষের আগে আন্দাজ করতে পারবেন না।
এই গল্প এক অন্যরকম যুদ্ধের। যুদ্ধের সৈন্য কোনো মানুষ নয়, বরং মানুষের সৃষ্টি। যুদ্ধে হতাহত কোনো ভবন নয়, বন্দর নয়, বরং মানুষের বিশ্বাস, আর কল্পনা। এই যুদ্ধের শুরু কোথায়, তা গল্পের শেষের আগে আন্দাজ করতে পারবেন না।
তানজীম রহমানের জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই ঢাকা শহরে। পড়াশোনা করেছে নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটিতে। ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার আগ্রহ, বিশেষ করে হরর, থ্রিলার, কল্পবিজ্ঞানের মতো বিভিন্ন জনরার বই। তবে লেখার জগতে তার পদার্পণ অনুবাদসাহিত্যের মাধ্যমে। স্টিফেন কিং-এর বিখ্যাত ভৌতিক উপন্যাস দ্য শাইনিং ছিল তার প্রথম অনুবাদগ্রন্থ। এরপর তিনি হারলান কোবেনের কট, ডিম কুন্টজের ডার্কফল এবং জিম বুচারের ড্রেসডেন ফাইলস: স্টর্ম ফ্রন্ট উপন্যাসের অনুবাদ সম্পন্ন করেন। তার প্রথম মৌলিক উপন্যাস আর্কন প্রকাশিত হলে পাঠক সমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। দ্বিতীয় উপন্যাস অক্টারিন তাকে নিয়ে যায় অন্য এক উচ্চতায়। বৈচিত্র্যপূর্ণ কাজের প্রতি ঝোঁক আছে বলে পরবর্তিতে একেবারে নিরীক্ষাধর্মি একটি নভেলা কেটজালকোয়াটল ও সৃষ্টিবিনাশ রহস্য লেখেন, আর বলাই বাহুল্য সেটাও পাঠকসমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত হয়। এছাড়াও বাতিঘর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত এ পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি থ্রিলার গল্পসঙ্কলন-এ প্রকাশিত হয়েছে তার মৌলিক ও অনুদিত ছোটগল্প। বর্তমানে তিনি প্রথম সারির একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কর্মরত আছেন ।
ধরা যাক, পৃথিবীতে কোনো শব্দ নাই। শব্দ মানে অক্ষরে তৈরি শব্দ। তাহলে কেমন হবে? মানুষ কী চলতে পারবে শব্দ ছাড়া? আবার ধরা যাক, পৃথিবীতে সংখ্যা বলে কিছু নাই। তাহলেও কী চলা সম্ভব? শব্দ বা সংখ্যা যদি মানুষের মতো আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করে, যদি চায় একে অন্যকে বিপন্ন বা বিলীন করে দিতে, তাহলে কী ঘটবে? এ নিয়ে বেশি দূর চিন্তা করাও দুষ্কর। কিন্তু ‘শব্দজব্দ’-তে এমনটিই ঘটিয়েছেন লেখক। এটা একেবারে আউটস্ট্যান্ডিং এক রচনা। বইঘর দারুণ এক কাজ করেছে। যদিও সবার ভালো না-ও লাগতে পারে।
এটা কি উপন্যাস? কীভাবে!!! আমার কাছে লাগলো প্রবন্ধ। জনরা যেটাই হোক, জিনিসটা উপভোগ্য। নতুন কিছু পড়লাম। তানজীম রহমানের বাকি বইগুলাও পড়বে। এটাই লাভ।
পড়তে পড়তে ভাবতেছিলাম, কেন পড়তেছি? এমনটা ভাবতে ভাবতে পড়া শেষও হইলো। মোটামুটি তব্দা লেগে গেছে মগজে। তয় ভালোও লাগছে, এই কারণেই সব উল্টাপাল্টা লাগতেসে। এইটা কি শিশুদের রচনা না বড়দের? আপনারা কেউ জানায়েন।
ধুন্দুমার অবস্থা। শব্দ-সংখ্যার যুদ্ধ। যুক্তি-পাল্টা যুক্তি। এক কথায় অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এমন লেখা সত্যি বলতে আগে পড়িনি। লেখককে ধন্যবাদ।
“কোনো কবি যতোই পীড়াপীড়ি করুক, ‘৪’ সংখ্যা বাদ দিয়ে চতুর্ভূজের ব্যাখ্যা দিতে পারবে না। যেখানে আকৃতির মতো একটা সরল বিষয় বোঝানোর ক্ষমতা শব্দের নেই, সেখানে অন্য কোনো গুরুদায়িত্ব তাদের ওপর তুলে দিয়ে হাস্যকর পরিস্থিতি তৈরি করার মানে হয় না।” সংখ্যা আর শব্দ নিয়ে এমন এক মারপ্যাঁচের খেলা, বাবা গো! ইউনিক উপস্থাপন। অন্যরকম এক কাহিনি। আমার একটা প্রশ্ন, এটা কী নভেলা?
সোলায়মান সুমন 2022-05-23 13:00:40