মাজহারুল ইসলামের গল্পের জগৎ পাঠকের চেনা। প্রথমে এমনই মনে হয়। ঘটনা, চরিত্র সবই যেন জানা। কিছু পরেই যদিও পাঠক স্পষ্ট বোঝেন না, অমন নয়, সবই গল্পকারের নিজ জীবন থেকে তুলে আনা। তিনি তাকে না-দেখালে কিছুই চোখে পড়ত না। ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জগতের সমস্ত শব্দ-বর্ণ-গন্ধ কি অতীন্দ্রিয় জীবনের নানা বোধও তাঁর চেতনার কুঠুরিতে সঞ্চিত হয়। লেখকই পারেন তার নির্যাসটুকু পাঠকের হাতে তুলে দিতে। সাতটি গল্পের এই সংকলন জীবন ও জগতের নানা কথা বলে। ব্যক্তিগত কি পারিবারিক দুঃখ-শোক-যন্ত্রণা অথবা রাজনৈতিক বৈকল্যের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধসঞ্জাত ক্রোধ ও বেদনার পরম আলেখ্য হয়ে দাঁড়ায়।
জন্ম ১ অক্টোবর, ১৯৬৬, সিরাজগঞ্জে। প্রকাশনা শিল্পের অন্যতম এক নাম মাজহারুল ইসলাম। এই পরিচয় ছাপিয়ে তিনি আলোচিত লেখক হিসেবেও। এটি তাঁর দ্বিতীয় গ্রন্থ। স্কুলজীবন থেকে মাজহারুল ইসলাম সম্পৃক্ত নানা সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের সঙ্গে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় যুক্ত হন গ্রুপ থিয়েটার আন্দোলনে। এ সময় তিনি মুদ্রণ ও প্রকাশনা শিল্পের সঙ্গেও জড়িত হন অপেশাদার হিসেবে। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের কয়েক বছরের মধ্যেই ১৯৯৬-এর জানুয়ারিতে পাক্ষিক ‘অন্যদিন’ সম্পাদনা ও প্রকাশনার মাধ্যমে শুরু হয় এক নতুন যাত্রা। পরের বছর সৃজনশীল প্রকাশনায় উৎকর্ষের সন্ধানে শুরু করেন ‘অন্যপ্রকাশ’। বই প্রকাশে পেশাদারিত্ব আর মুদ্রণ ও বিপণনের আধুনিক কলাকৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে অল্প সময়েই তা মনোযোগ আকর্ষণ করে সবার। বাংলা ভাষার জননন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের প্রায় সকল বই এক দশকের বেশি সময় ধরে প্রকাশের ফলে একটা অভিনব জুটি তৈরি হয়, লেখক-প্রকাশকের। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতায় স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশের এই শিল্পও পৌঁছাবে এমন এক উচ্চতায়, যার অহংকারের অংশীদার হবে প্রতিটি বাঙালি। তাঁর পরিচালনায় নির্মিত হয়েছে কয়েকটি টিভি নাটক, টেলিফিল্ম ও ধারাবাহিক নাটক। সফলতা পেয়েছেন সেখানেও।
Abdul Noor al-Meskin | 2021-03-25 10:52:56 | An absolutely brilliant story, I would recommend this to anyone. |