Product Summery
স্কুল শিক্ষক আলোকনাথ বাবুর মহাবিপদ। তার মেয়ে সোমলতা কী কী যেন দেখে ভয় পায়! তিনি আহমেদ করিম সাহেবের কাছে সমাধান চাইলেন! কিন্তু চাইলেই কি আহমেদ করিম পারেন সব সমস্যার সমাধান দিতে!
স্কুল শিক্ষক আলোকনাথ বাবুর মহাবিপদ। তার মেয়ে সোমলতা কী কী যেন দেখে ভয় পায়! তিনি আহমেদ করিম সাহেবের কাছে সমাধান চাইলেন! কিন্তু চাইলেই কি আহমেদ করিম পারেন সব সমস্যার সমাধান দিতে!
স্কুল শিক্ষক আলোকনাথ বাবুর মহাবিপদ। তার মেয়ে সোমলতা কী কী যেন দেখে ভয় পায়! তিনি আহমেদ করিম সাহেবের কাছে সমাধান চাইলেন! কিন্তু চাইলেই কি আহমেদ করিম পারেন সব সমস্যার সমাধান দিতে!
শরীফুল হাসানের জন্ম ময়মনসিংহে। ব্রহ্মপুত্রের তীরে তার শৈশব কেটেছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর। শরীফুল হাসানের প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয় ২০১২ সালে, ‘সাম্ভালা’ শিরোনামে। অন্য দুটি বইয়ের সাথে, এই মনোমুগ্ধকর ফ্যান্টাসি ট্রিলজি দেশ ও দেশের বাইরে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে। সাম্ভালা ট্রিলজির ইংরেজি অনুবাদ বের হয় ভারত থেকে। সাম্ভালা ট্রিলজি (সাম্ভালা, সাম্ভালা দ্বিতীয় যাত্রা, সাম্ভালা শেষ যাত্রা), ‘ঋভু’, ‘আঁধারের যাত্রী’, ‘অদ্ভূতুড়ে বইঘর’ তাঁর উল্লেখযোগ্য বই । এ ছাড়া বেশ কিছু গল্প সংকলনে প্রকাশিত হয়েছে তার ছোটগল্প।
ভালো বই।
অমীমাংসিত রহস্য আসলে সবাই হজম করতে পারে না। আমার দারুণ লেগেছে। পরবর্তী অধ্যায় বের হলে সবাই খুশী হবো!
এই ধরণের গল্প পড়ে অভ্যস্ত না আমি। আমি মোটামুটি হতাশ। হয়তো কোনোদিন মর্যাদা বুঝবো। আহমেদ সাহেব কিছুটা আমাদের মিসির আলি সাহেবের মতোন।মিলটা খুবই ক্ষীণ।তবে মিসির আলি যেভাবে হৃদয় মনে বিরাজ করে আছেন, তাতে করে অল্পতেই মনে ভেসে উঠে তার ছবি। মিসির আলি সাহেব রহস্যের ব্যাখ্যা দেন, না পারলেও সম্ভাব্য লজিক দাঁড় করান। কিন্তু এখানে রহস্য রহস্যই থেকে গেছে। সমাধানের আশায় থেকে পড়ায় হতাশ। অন্ধকার থেকে আলোয় এসে অভ্যস্ত। কিন্তু যে তিমির সে তিমিরেই রয়ে গিয়ে, আসকে আমার মন ভালো নেই।
এই ঈদে বইঘর এপ কিছু ই-বুক বের করে। এরমধ্যে শরীফুল হাসানের "উধাও" অন্যতম। লেখক এই আহমেদ করিম চরিত্র নিয়ে এর আগে আরো তিনটা উপন্যাস লিখেছে। এর কোনটাই আমার পড়া নাই। একেবারে নতুন একটা চরিত্র আমার কাছে। কেন যেন বারবার মিসির আলির কথা মনে পড়ছিল খুব বইটা পড়তে গিয়ে৷ ছোট একটা বই। বড় গল্প একটা শুধু। এই গল্পে লেখক অনেক কিছু নিয়ে আসছে। অতীতের দুইটা কাহিনী বর্ণনা করেছে যার সাথে অনেকটা মিলে যায় বর্তমান অবস্থার। অনেকদিন পর কোন বই পড়লাম। ভালো লেগেছে সবকিছু মিলিয়ে।
"আহমেদ করিম" সিরিজ আমার কাছে ভালোই লাগে। প্রথম বই 'রুপকুমারী ও স্বপ্নকুহক' এবং বইমেলা'২১-এ এলো 'কিংকর্তব্যবিমূঢ়'। তারপর বইমেলা'২২-এ এসেছে সিরিজের তৃতীয় বই 'প্রতিচ্ছায়ারা জেগে থাকে' (পড়া হয় নাই) ঈদ কার্নিভ্যাল #বইঘর এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট হিসাবে এলো আহমেদ করিম ৩.৫ 'উধাও'। এটি মূলত একটি গল্প। আগের উপন্যাসগুলোর সাথে সংযুক্ত না, শুধু মূল চরিত্র আহমেদ করিমকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাই আগের বইগুলো পড়া না থাকলেও কোনো সমস্যা হবে না। বরাবরের মতো এবারও আহমেদ করিম এসেছেন রহস্য সমাধান করতে। এবারের রহস্যের সমাধান অমীমাংসিত ছিল। যদিও গল্পটি পড়লে বুঝতে পারবেন যে এটাই গল্পের নামকরণের সার্থকতা। গল্পের শেষটা সুন্দর। ছোটো গল্প পড়ার অভ্যাস আমার আছে। তাই আমি জানি ছোটো গল্পগুলো অনেক সময় খুব দ্রুত এবং হুটহাট করেই শেষ হয়ে যায়। অন্য পাঠকদের মতো আমারও মনে হয়েছিল কিছু বাদ দিলাম না তো? প্রচ্ছদটা সুন্দর হয়েছে। ছোটোখাটো কিছু টাইপিং মিসটেক চোখে পড়েছে। বইঘর অ্যাপ কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল ভালো করে প্রুফরিডিং করা। আর ফন্ট সাইজ ফিক্সড করে দেয়ার পরেও এক পেজে দুই সাইজের ফন্ট পেয়েছি। পড়তে পারেন 'উধাও'। আশা করি, ভালো লাগবে।
সম্প্রতিক খুব কম লেখকের লেখা পরে ভাল লাগেছে, এটা সেই তালিকায় পরে। Boogyman (2005) আর Absentia (2011) সাথে অনেক মিল। আহমেদ করিম চরিত্রটি অনেকটা মিসির আলির মত। লেখক পরবর্তিতে এই চরিত্রটি আমাদের সামনে আরো নিয়ে আসবেন আশা করি।
অসাধারণ ❤️
|| রিভিউ || বইঃ উধাও (আহমেদ করিম # ৩.৫) লেখকঃ শরীফুল হাসান প্রকাশকঃ বইঘর অ্যাপ প্রকাশকালঃ এপ্রিল, ২০২২ ঘরানাঃ সুপারন্যাচারাল থ্রিলার মূল্যঃ ৫০ টাকা ফরম্যাটঃ ই-বুক কাহিনি সংক্ষেপঃ আলোকনাথ সিনহা একজন স্কুল শিক্ষক। নির্বিরোধী ভালো মানুষ স্বভাবের এই ভদ্রলোক একদিন দেখা করলেন সাইকোলজিস্ট আহমেদ করিম সাহেবের সাথে। সমস্যাটা ভদ্রলোকের একমাত্র মেয়ে সোমলতাকে নিয়ে। মেয়েটা ইদানীং বাবা আলোকনাথ সহ বাড়ির সবাইকেই সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখছে। তার ধারণা, তার পরিবারের কেউ আসল না। বরং একটা কালো ছায়া তাদেরকে গ্রাস করে তাদেরই চেহারা নিয়ে ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছে। সহকারী সোহেলকে সাথে নিয়ে আহমেদ করিম সাহেব আলোকনাথবাবুর বাড়িতে গেলেন। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হলো, আলোকনাথবাবু তাঁদেরকে চিনতে পারলেন না। আসলেই চিনতে পারলেন না, নাকি না চেনার ভান করছেন ভদ্রলোক? এদিকে সোমলতার সমস্যাও যেন আরো বেড়ে গেছে। মেয়েটার সাথে আহমেদ করিমের কথা হলো বটে, কিন্তু তিনিও এই সমস্যার কোন তল তৎক্ষনাৎ খুঁজে পেলেন না। আঠারো শতকের শুরু দিকের কথা। ইউরোপে তখন ডাইনি সন্দেহে নারীদের পুড়িয়ে মারা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও বাভারিয়া'র এক অখ্যাত গ্রামে ভয়ঙ্কর ও ব্যাখ্যার অতীত কিছু ঘটনা ঘটেছিলো। ওই ঘটনাগুলোর সাথে সোমলতার কি কোন সম্পর্ক আছে? কালো ছায়াটা আসলে কিসের, যা গ্রাস করে নিয়ে একটা মানুষকে একদম মুছে ফেলছে সময়ের পাতা থেকে? এবার অদ্ভুত এক রহস্যের মুখোমুখি হলেন সাইকোলজিস্ট আহমেদ করিম, যা হয়তো টলিয়ে দেবে তাঁর লালন করা দীর্ঘদিনের বিশ্বাসের জগতটাকেই। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ সুলেখক শরীফুল হাসানের আহমেদ করিম সিরিজের নতুন কাহিনি 'উধাও'। এর আগে আমি সিরিজের মাত্র একটা বই পড়েছি। সেটা ছিলো সিরিজের দ্বিতীয় বই 'কিংকর্তব্যবিমূঢ়'। বইঘর অ্যাপে 'উধাও' প্রকাশ হওয়ার পরপরই পড়ার ইচ্ছা ছিলো। ইচ্ছাটা পূর্ণ করলাম। 'উধাও'-কে আসলে আহমেদ করিম সিরিজের বড় গল্প বলা যায়। এখানে এমন এক রহস্যের মুখোমুখি করা হয়েছে আহমেদ করিমকে, যা শেষমেষ রয়ে গেছে অমীমাংসিত। কিন্তু অমীমাংসিত থেকে গেলেও আমার কাছে মনে হয়েছে শেষটা এভাবেই হওয়া উচিৎ ছিলো। একটা পর্যায়ে গিয়ে আমি নিজেও আহমেদ করিমের অস্তিত্ব টিকে থাকার ব্যাপারে কিছুটা ভয় পেয়ে গেছিলাম। কালো একটা ছায়া, যা আপনাকে গ্রাস করে নিয়ে আপনার সমস্ত সত্ত্বাকে মুছে ফেলছে - ভাবতেই কেমন অদ্ভুত লাগে না? আমারও লেগেছিলো। শরীফুল হাসান তাঁর 'উধাও'-এ মধ্যযুগে ডাইনি সন্দেহে ইউরোপের অনেক নারীকে পুড়িয়ে মারার ব্যাপারে কিছুটা আলোচনা করেছেন। এই ব্যাপারটা নিয়ে আরো বিস্তারিত পড়াশোনা করবো বলে ঠিক করেছি। স্পৃহাটা জাগিয়ে দেয়ার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ। এই বইয়ে তিনি আরো একটা কেস সম্পর্কে আলোচনা করেছেন, যেখানে অক্সফোর্ডের দুইজন প্রাক্তন শিক্ষক কোন এক রহস্যের মুখোমুখি হয়ে নিজেদেরকে লুকিয়ে ফেলেছিলেন লোকচক্ষুর সম্পূর্ণ আড়ালে। এই ব্যাপারটাও আমার কাছে ইন্টারেস্টিং লেগেছে। বরাবরের মতোই তাঁর গল্প বলার ধরণ চমৎকার ছিলো। আর এই কারণেই বোধহয় 'উধাও' কখন শেষ হয়ে গেছে, টেরই পাইনি। ছোটখাটো দুই-একটা টাইপিং মিসটেক চোখে পড়েছে, স্বাভাবিক। বইঘর অ্যাপ কর্তৃপক্ষের প্রতি আমার দুটো সাজেশন। এক, বইয়ের পৃষ্ঠাসংখ্যার ব্যাপারটা উল্লেখ থাকা উচিৎ। আর দুই, প্রচ্ছদশিল্পীর নাম উল্লেখ থাকা উচিৎ। অ্যাট লিস্ট আমার কাছে এমনটাই মনে হয়েছে, এই দুটো বিষয় উল্লেখ থাকলে ভালো হয়। এমনিতে অ্যাপ এক্সপেরিয়েন্স আগের চেয়ে বেটার ছিলো। চাইলে পড়ে ফেলতে পারেন 'উধাও'। আশা করি, ভালো লাগবে। ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৩.৭৫/৫ গুডরিডস রেটিংঃ ৪.১৮/৫ #Review_of_2022_08 #Review_Udhao ~ শুভাগত দীপ ~ (৭ মে, ২০২২, বিকাল ৪ টা ৭ মিনিট; নাটোর)
উধাও গল্পের শেষ নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকলেও আমার কাছে খুবই যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে। আহমেদ করীম উধাও হয়ে যায় কিনা পরের কোনো গল্পে তাই নিয়ে আমি আতংকিত
নাম: উধাও লেখক: শরীফুল হাসান জনরা: অতিপ্রাকৃতিক পৃথিবীতে কতকিছুই তো ঘটে... ঘটনাগুলোর ঘটার পিছের কারণ কি সবসময় জানা সম্ভব হয়? কিছু এমন ঘটনাও তো ঘটে যার যৌক্তিক ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায় না... আজও প্রতিদিনকার মতো বাবার জন্য বারান্দায় অপেক্ষা করে সোমলতা। বাবাকে দুর থেকে আসতে দেখে রুমে চলে যায়। কিন্তু খটকা লাগে কিছু একটা অসংগতি আছে! ফিরে যেয়ে দেখে লম্বা মতো কালো ছায়া আলোকবাবুকে ধীরে ধীরে গ্রাস করে ফেলছে... আহমেদ করিমের কাছে এসেছে আলোকবাবু, সোমলতার সমস্যা নিয়ে। সোমলতার মতে তার পরিবারের কেউ আর আগের মতো নেই, উধাও হয়ে গেছে তার প্রিয়জনেরা! রহস্যের সমাধান করবেন আহমেদ করিম কথা দেন। কিন্তু উধাও রহস্যের সমাধান তো এতোও সোজা নয়... আহমেদ করিম সিরিজের আগের বইগুলো পড়া না থাকার কারণে ভেবেছিলাম পড়তে অসুবিধা হবে। কিন্তু না আগের বইগুলোর সাথে রিলেটেড না, জাস্ট মেইন ক্যারেক্টারগুলো আছে এতটুকুই। প্রথমে মনে হচ্ছিল সোমলতার মানসিক কোনো সমস্যা কিন্তু ভুল ভাঙতে সময় লাগে না। তবে শেষ পর্যন্ত একটা সমাধান থাকবে ভেবেছিলাম । উধাও কারা হচ্ছে আর কেন হচ্ছে- এর থিওরি লাস্টে যেয়ে বুঝেছি। কিন্তু উধাও হচ্ছে কিভাবে আর কোথায়- এর জবাব তো উধাও। শেষ করার পর মনে হচ্ছিল কিছু পেজ বাদ দেইনি তো। কয়েকবার চেক করলাম। কিন্তু না উধাও রহস্য আসলেই উধাও।
আহমেদ করিম সিরিজের বই আগেরগুলো পড়েছি। ভালোই লাগে এই সিরিজটা। এই গল্পটাও ভালো ছিলো। এই সিরিজের আগের কোনো গল্পের সাথে এটার সম্পর্ক নেই কোনো। আগেরগুলো না পড়লেও এটা বোঝা যাবে।
এটার কি সেকেন্ড পার্ট আসবে?
Short and light read but a good one. It could be a little more descriptive in my opinion.
আসলে হইলো টা কী? এভাবে কীভাবে উধাও হয়ে গেলো?
দারুণ~
SaZib Bhuiyan 2022-10-02 00:45:18