‘হ-য-ব-র-ল’ ননসেন্স ধারার লেখা। সাহিত্যবোদ্ধারা একে ‘এলিস ইন দ্য ওয়ান্ডারল্যান্ড’র সাথে তুলনা করেছেন। একজন কম বয়সী ছেলের ঘুম থেকে ওঠার মধ্য দিয়ে গল্প শুরু হয়। গরমে ঘাম মুছতে গিয়ে সে দেখলে রুমালটা বিড়াল হয়ে গেছে। বিড়ালটার সাথে কথাবলা শুরু করে। তারপর উদো আর বুদো, ব্যাকরন শিং, হিজিবিজবিজ, নেড়া, সজারু, প্যাঁচাসহ আরও অনেক চরিত্রের প্রবেশ ঘটে। বাড়তে থাকে বিশৃঙ্খলা।
১৮৮৭ সালে জন্মগ্র্রহণ করেন শিশুসাহিত্যিক ও ভারতীয় সাহিত্যে ‘ননসেন্স ছড়ার প্রবর্তক সুকুমার রায়। তিনি একাধারে লেখক, ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক, রম্যরচনাকার, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার ও সম্পাদক। তার লেখা কবিতার বই আবোল তাবোল, গল্প হ-য-ব-র-ল, গল্প সংকলন পাগলা দাশু এবং নাটক চলচ্চিত্তচঞ্চরী বিশ্বসাহিত্যে সর্বযুগের সেরা ‘ননসেন্স ধরনের ব্যঙ্গাত্মক শিশুসাহিত্যের অন্যতম বলে মনে করা হয়, কেবল অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড ইত্যাদি কয়েকটি মুষ্টিমেয় ধ্রুপদী সাহিত্যই যাদের সমকক্ষ। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বি.এস.সি. (অনার্স) শেষ করে তিনি ইংল্যান্ড থেকে আলোকচিত্র ও মুদ্রণ প্রযুক্তির ওপর পড়াশোনা করেন। বাবার মৃত্যুর পর জনপ্রিয় পত্রিকা সন্দেশ সম্পাদনাও করেন তিনি। তিনি ছিলেন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর সন্তান। খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় তাঁর পুত্র। ১৯২৩ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে তিনি মারা যান।