'রাডার স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে কামাল ফ্যাকাসে রক্তশূন্য মুখে বলল, ফ্লা-ই-ইং-স-সা-র!! পরবর্তী তিরিশ সেকেণ্ড সবাই ওদের তিনজনকে প্রচণ্ড বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবার ভয়াবহ দৃশ্য দেখার জন্য রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করতে থাকে। কিন্তু কিছুই ঘটল না। জাহিদ কাঁপা গলায় বলল, আমরা আর কতজন বেঁচে থাকব জানি না। ফ্লাইং সসারটিকে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি!' ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এণ্ড্রোমিডা, আর কিছুক্ষণ পরেই শেষ হয়ে যাবে রকেটে থাকা সবগুলো প্রাণ, পারবে কি ওরা সেই ধ্বংসাত্মক ফ্লাইং সসার থেকে বাঁচতে?
মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৯৫২ সালে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং কলাম-লেখক। ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন থেকে পিএইচ-ডি ডিগ্রী নেন ১৯৮২ সালে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই তিনি লেখালেখি করেন। একাধারে লিখে যাচ্ছেন উপন্যাস, ছোট গল্প, কিশোর উপন্যাস, কিশোর গল্প, শিশুতোষ গল্প, ভৌতিক গল্প, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি, ভ্রমণকাহিনি, মুক্তিযুদ্ধ এবং বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ক লেখা। তবে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি ও কিশোর উপন্যাসগুলোর জন্য তিনি নবীন প্রজন্মের কাছে অসাধারণ জনপ্রিয় একজন লেখক হিসেবে সুপরিচিত। লেখালেখির জন্য বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। বাংলা সাহিত্যের আরেক জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ তাঁর বড় ভাই। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- রঙিন চশমা, অন্যজীবন, ছোটদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, দীপু নাম্বার-টু ইত্যাদি।