Product Summery
নতুন গাড়ি কিনে প্রথমদিন রাস্তায় নেমেই রহস্যজনক দুর্ঘটনার শিকার হলো সাংবাদিক সায়েম মোহাইমেন। এটা আর নিছক কোনো সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে থাকলো না - নাটকীয়ভাবে মোড় নিলো ঘটনাপ্রবাহ। সমস্ত রহস্যের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠলো ১৯৫২! হত্যা-ষড়যন্ত্র, অপরাজনীতি, সামাজিক অবক্ষয়ের বাস্তবচিত্র বেরিয়ে এলো এক এক করে। অনেকগুলো ঘটনার জটপাকানো রহস্য। সেই রহস্যের সমাধান দিতে পারে কেবল ১৯৫২; কারণ এটি নিছক কোনো সংখ্যা নয়!
"প্রথম আই কন্ট্যাক্ট.... তারপর সিডিউস করতাম। শেষে মাইকেলাঞ্জেলোর ডেভিড হইয়া গেলাম... ডেভিড অন দি বেলকনি!" বইয়ে "এ্যাডাল্ট কথাবার্তা"-র উল্লেখ অনেকের গাত্রদাহের কারণ হয়। কিন্তু আমার হিসাব সোজা। এ্যাডাল্ট কথাবার্তায় খানিক রসকস মিশিয়ে ব্যাপারগুলোকে যদি এ্যাডাল্ট জোকস্-এ রূপান্তর করা যায় আর তা যদি ঘটনা প্রবাহের সাথে খাপে খাপে মিলে যায় তবে আমার জন্য তা শাপে বর! এই বইটার জাদু আসলে এটাই- গুরুগম্ভীর ঘটনাপ্রবাহের জায়গায় জায়গায় রসকস ঢেলে গল্পটার উপস্থাপন এমন নাটকীয় হয়েছে যে কাহিনীর গাম্ভীর্যে বেসামাল না হয়ে মনে একটা ফুর্তি ফুর্তি ভাব ধরে রেখে বইটা আরামসে পড়ে শেষ করা যায়। নাটকীয় বলেই গল্পে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কিছু না কিছু ঘটতেই থাকে আর এই ঘটন-অঘটনের মাঝে কখন গল্পের শেষে চলে এলাম তা ঠিক ঠাহর হয় না। অবশ্য এই নাটকীয়তাই হয়তো কারো অপছন্দ হতে পারে; তাদের মনে হতেই পারে যে, "ধুর! আসলেও কি আদালতে জেরা পর্ব এমন বাংলা সিনেমার মতোন হয়?... ধুর! এমন কাকতাল ও বুঝি ঘটে?! গল্পের খাতিরে লেখক এইটা ঘটাইলেন..."। গল্পের খাতিরে লাগলে লেখক তো কাকতাল ঘটাবেনই ! তারচেয়ে বড় কথা, বাস্তবে আসলে কাকতাল ক্ষেত্রবিশেষে নাটক-সিনেমার চেয়েও নাটকীয় হয়। গল্প পড়ে মনে হয় লেখক প্রতিটা চরিত্র নিয়ে ভেবেছেন, সেই চরিত্র যতোই গুরুত্বহীন হোক। গল্পে সরাসরি যেসব চরিত্রের উপস্থিতি নেই তাদেরকেও সরাসরি উপস্থিত চরিত্রদের জবানি গুণে খুব চেনা মনে হয়। খাইয়া-হইয়া বলা পাগলা রুডিকে ভেবে যেমন হাসি পায়, তেমনি রুডির বন্ধু 'ব্যাডলাক'-এর জন্যও দুঃখ দুঃখ ভাব হয়। সায়েম-মওলা-নিশু, নিম্মি-তাহিতি-অরিন, এই গল্পের চরিত্রগুলোকে ভালো লাগুক বা না লাগুক, এদেরকে ভালোমন্দে মেশানো সাধারণ মানুষের কাতারে ফেলা যায় অনায়াসেই। ঘটনার নাটকীয়তা আর চরিত্রগুলোর "অসাধারণ" না হওয়াটা গল্পটায় যেন একটা ভারসাম্য রক্ষা করেছে। গল্পের ভিত যেই খুন, সেই রহস্যটাও বেশ লেগেছে। চিকন বুদ্ধি থাকলে খুন রহস্যের সমাধা কেউ হয়তো গল্প শেষ হওয়ার আগেই ধরতে পারে কিন্তু আমি আবার মাথা মোটা। ৪১৪ পৃষ্ঠার বইটা যেই মোটকা আর বাঁধাই এমন শক্ত যে হার্ডকপি পড়লে বই ধরে রাখার আলসেমিতে নির্ঘাত এই বই আমি দশদিন লাগিয়ে পড়তাম। পড়তে আরাম বলে এ্যাপে এই বই আমি এক রাতে, এক বসাতে পড়ে উঠেছি। নাটকীয়তা আপনার কাপের চা হলে আর "টুইস্টে কাইত" হওয়ার তীব্র ইচ্ছা না থাকলে পড়ে ফেলতে পারেন ১৯৫২।
Pichchi Leeha 2022-01-16 21:02:15
Ending pore kichukhon tobda kheye chilam. victim er jonno onek kharap o legeche.
Sajib Haldar 2021-08-11 14:14:58