0
বায়োগ্রাফি : সাহিত্যে উপন্যাসই মূল ক্ষেত্র আবদুল্লাহ আল ইমরানের। এযাবৎ প্রকাশিত ছয়টি উপন্যাসের মাধ্যমে বাংলা কথাসাহিত্যের অভাবিত বিস্তৃতি ঘটিয়েছেন তিনি। এসবের প্রতিটি আখ্যানে উন্মোচিত হয়েছে নতুন সব পটভূমি, সমাজের গভীরে, অলক্ষ্যে যাপিত বিচিত্র জীবন। সম্পর্কের বিগ্রহ ও বিস্ময়, ব্যক্তি বা এককের উপর সমাজের বৃহৎ ঘটনার প্রভাব তাঁর রচনাসমূহে উপজীব্য হতে দেখা যায়। ইমরান কৃতী ও মেধাবী, যা ইতিমধ্যেই তাঁর বিভিন্ন অর্জনে ভাস্বর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের উচ্চশিক্ষা তাঁকে সমৃদ্ধ করেছে এক বিশেষ ধরণের সামষ্টিক বোধে। পেশায় অভিষেক ছাত্রাবস্থাতেই। সংবাদপত্রের লেখক হিসেবে। পরে আরও জড়িয়ে যান সাংবাদিকতায়। এখন দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও তাঁর পরিচিতি অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে। দেশে এক যুগের বেশি অভিজ্ঞতা নিয়ে যোগ দেন কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম ব্যুরোতে। সেখানে ইন্টার্নশিপ শেষে কাজ করছেন দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিবিসির জনপ্রিয় অনুসন্ধানী দল— দ্য ফিফথ এস্টেটে। বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত চক্রসমূহকে চিহ্নিত করে পেয়েছেন সিআইডির ‘আউটস্ট্যান্ডিং জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড’। আর টিআইবির অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার জিতেছেন রাজনীতিবিদদের অর্থ পাচার নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য। ইমরানই একমাত্র সাংবাদিক, যাঁর প্রতিবেদন টানা চার বছর অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নেটওয়ার্কের চোখে সেরা বিবেচিত হয়েছে। জন্ম শিল্পনগরী খুলনায়। সেখানকার পাটকলকেন্দ্রিক সমাজ নিয়ে লেখা তাঁর উপন্যাস ‘কালচক্র’ বিপুল সাড়া জাগিয়েছে। এর জন্য ভূষিত হয়েছেন পূর্বপশ্চিম সাহিত্য পুরস্কারে। স্ত্রী সানজিদা পারভীন তিন্নি একজন চিত্রশিল্পী। পেশায় প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। তাঁদের একমাত্র পুত্র আফনান আবদুল্লাহ তিয়ান।