0
বায়োগ্রাফি : তারুণ্য আর যৌবনের ক্রান্তিলগ্ন সবার জীবনেই গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এ সময় মানুষ ভীষণ একাকিত্বে ভোগে। মধ্যরাতে পায়ের আওয়াজ উপন্যাসের লেখক কাজী এনায়েত উল্লাহর বয়ঃসন্ধিকালে বাংলাদেশে সংঘটিত হয় মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ। জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ ওই সময়ে স্বচোক্ষে দেখা যুদ্ধের ভয়াবহতার অভিজ্ঞতা পরবর্তী সময়ে তাঁকে একজন বৈশ্বিক নাগরিক হয়ে উঠতে অনুপ্রাণিত করেছে। বাংলাদেশের উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান কাজী এনায়েত উল্লাহ চার দশক ধরে প্যারিসপ্রবাসী হলেও কৈশোরে তাঁর দেখা মুক্তিযুদ্ধের সেই সব ভয়াবহ দিনগুলোর কথা তাঁকে প্রতিনিয়ত স্মৃতিতাড়িত করে। তাঁর লেখা মধ্যরাতে পায়ের আওয়াজ নিছক একটি উপন্যাস নয়, এটি একদিকে যেমন একটি দেশের ঐতিহাসিক পট পরিবর্তনের পাশাপাশি শাসিত ও শোষিত জনগোষ্ঠীর মুক্তিলাভের উপাখ্যান, তেমনি একজন মানুষের বৈহঙ্গিক তারুণ্যের দিনগুলোয় জীবন-মৃত্যুর অনিশ্চয়তাময় অভিজ্ঞতাসিঞ্চিত অভিজ্ঞান। মধ্যরাতে পায়ের আওয়াজ এমনই একটি উপন্যাস, যাতে শুধু একজন ব্যক্তি নয়, একটি দেশ তথা নিষ্পেষিত একটি সমাজের ব্যাপক পরিবর্তন লিখনীর রংতুলিতে মূর্ত হয়ে উঠেছে বিমূর্ত ক্যানভাসে। লেখক এখনো স্বপ্ন দেখেন তাঁর মাতৃভূমির আমূল পরিবর্তনের, যেখানে থাকবে শুধু সুখ-শান্তি, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ আর তারুণ্যের বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব প্রদানের সফলতা। উপন্যাসটি পড়ে সব শ্রেণির পাঠক সর্বৈব ঋদ্ধ হবেন এবং নিজেকে একজন বিশ্বনাগরিক হয়ে ওঠার মন্ত্রণা পাবেন বলেই আমার বিশ্বাস ।