0
বায়োগ্রাফি : সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম গল্পলেখা শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়, কিন্তু একটি গল্পই মাত্র তিনি ছাপতে দেন, ১৯৭৩ সালে জনপ্রিয় সাপ্তাহিক ‘বিচিত্রা’য়। অধ্যাপনার জগতে ঢুকে পড়ায় উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতিগ্রহণের প্রয়োজনীয়তায় গল্পলেখায় বিরতি টানতে হয়। একসময় সাহিত্য ও শিল্পকলা বিষয়ে লেখালেখিতে তিনি মনোনিবেশ করলে গল্পের অঞ্চল থেকে দূরে চলে যান। কিন্তু গল্প নিয়ে, আমাদের গল্পলেখার ইতিহাস নিয়ে তিনি তাঁর চিন্তাভাবনায় কখনো ছেদ টানেন নি। ১৯৮৯ সালে আবার যখন একটি গল্প নিয়ে হাজির হন, দেখা যায় আমাদের গল্পবলার ঐতিহ্যে তিনি আস্থা স্থাপন করেছেন। এরপর বিরতিহীন তিনি লিখে যাচ্ছেন। গত তিরিশ বছরে তিনি দশ-এগারোটির মতো গল্পগ্রন্থ এবং পাঁচটি উপন্যাস লিখেছেন, যদিও ছোটগল্পেই তাঁর স্বাচ্ছন্দ্য বেশি। এই গল্পগুলি তাদের বিষয়গুণে, গল্পবলার তাঁর নিজস্ব স্টাইলের কারণে, আর তাঁর গল্পে বাস্তবতা-অবাস্তবতার অপূর্ব এবং মায়াময় মিশ্রণের কারণে বাংলা কথাসাহিত্যে তাঁকে একটা বিশিষ্ট আসন দিয়েছে। ২০০৫ সালে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের ‘প্রেম ও প্রার্থনার গল্প’ প্রথম আলো বর্ষসেরা সৃজনশীল বই হিসেবে ও কাগজ সাহিত্য পুরস্কার পায়। ১৯৯৬ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদানের জন্য ২০১৮ সালে একুশে পদক লাভ করেন। তাঁর ‘একাত্তর ও অন্যান্য গল্প’ তাঁকে ২০১৭ সালের ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার এনে দেয়।