0
বায়োগ্রাফি : সেলিনা হোসেনের জন্ম ১৪ জুন, ১৯৪৭, রাজশাহী শহর । পিতা এ কে মোশাররফ হোসেন রাজশাহী রেশমশিল্প কারখানার পরিচালক ছিলেন। মাতার নাম মরিয়মন্নেসা বকুল । পিতা-মাতার চতুর্থ সন্তান। ষাটের দশকের মধ্যভাগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে লেখালেখির সূচনা। সেই সময়ের লেখা নিয়ে প্রথম গল্পগ্রন্থ 'উৎস থেকে নিরন্তর' প্রকাশিত হয় ১৯৬৯ সালে। তারপর উপন্যাস, গল্প, শিশুসাহিত্য, প্রবন্ধ, ভ্রমণসহ লেখালেখির নানাক্ষেত্রে তিনি বিচরণ করেছেন, করছেন। সেলিনা হোসেনের লেখার জগৎ বাংলাদেশের মানুষ, তার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। তাঁর উপন্যাসে প্রতিফলিত হয় সমকালের সামাজিক ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-সংকটের সামগ্রিকতা। বঙালির অহঙ্কার ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ তাঁর লেখায় নতুন মাত্রা অর্জন করে। সাহিত্যসাধনার স্বীকৃতি হিসেবে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮০), একুশে পদক (২০০৯) ও স্বাধীনতা পুরস্কার (২০১৮) অর্জন করেন। এছাড়া ১৯৯৪-৯৫ সালে তিনি তাঁর ত্রয়ী উপন্যাস ‘গায়ত্রী সন্ধ্যা’ রচনার জন্য ফোর্ড ফাউন্ডেশন ফেলোশিপ পেয়েছিলেন। ২০১০ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডি-লিট উপাধি পান। ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি, কানাড়ি, রুশ, মালে, ফরাসি প্রভৃতি ভাষায় তাঁর বেশ কয়েকটি গল্প অনূদিত হয়েছে ১৯৮৭ সালে 'হাঙর নদী গ্রেনেড এবং ১৯৮৩ সালে 'নীল মহূরের যৌবন' এবং ১৯৯৯ সালে টানাপোড়েন" উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ পায়। পশ্চিমবঙ্গের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর ‘যাপিত জীবন এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে 'নিরস্তর ঘণ্টাধ্বনি' উপন্যাস পাঠ্যসূচিভুক্ত।