0
বায়োগ্রাফি : লুৎফর হাসান। বাড়ি ঝিনাই নদীর ধারে। সেটা নবগ্রামে। টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুরের এক নিঝুম গ্রাম। ঘুরেফিরে তার নানান লেখায় এই গ্রাম আর নদীই শাসন করে যায়। পড়ালেখা পাকুটিয়া স্কুল ও গোপালপুর আলিয়া মাদ্রাসায়। তারপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এই ক্যাম্পাস তাকে পাখি হতে শিখিয়েছিল। সেই থেকে উড়ালপনা। এক সময় ঢাকায়। সেটাও এক যুগেরও আগে। রাজধানীতে থিতু হতে গিয়ে বাসের হেলপারি করেছেন, ইটভাটায় কাজ করেছেন, থেকেছেন বুড়িগঙ্গার নৌকাতেও। করেছেন শিক্ষকতা। তারপর নানান পেশা। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে কখনও ডেস্কে বসে কাজ করেছেন। কখনও দেশ চষে বেড়িয়েছেন অনুষ্ঠান নির্মাণে। তারপর জীবনের ঘিঞ্জিতে ঝলমল করে গানের রোদ উঠে গেছে এক ফাঁকে। গেয়েছেন- ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো, ভাবনায় ডুবি ভাসি, যদি কান্না কান্না লাগে এবং আরও প্রায় দুই শতাধিক গান। লিখেছেন ও সুর করেছেন অর্ধ সহস্র গান। মূল পরিচয় গানে। তবুও আরাম পান লিখতেই। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, লিখছেন অনেক শাখাতেই। এ পর্যন্ত প্রকাশ পেয়েছে দেড় ডজন গ্রন্থ। ইনহাউস প্রোডাকশন, হেলেঞ্চাবতী, সগৌরবে চলিতেছে, ঝিনাইপাখি, ফেকুয়া, ঘাসফুল ও সন্ধ্যামালতীরা, আগুনভরা কলস, ঠিকানা রাত্রিপুর, নীল মলাটের গল্প, ডাকবাক্সের ডানা, তোমার খোলা পিঠে আমার আততায়ী মেঘ, মানিব্যাগ, সুতো ছাড়া সংসার, আয়না ভাঙা রোদ, লাল কাতানের দুঃখ, ভালোবাসার উনুনঘর, যে বছর তুমি আমি চাঁদে গিয়েছিলাম, দুপুর পাখি। লুৎফর হাসানের একমাত্র মেয়ে দুপুর। মেয়েকে নিয়ে স্বপ্ন, সে বড় হয়ে বলুক ‘বাবা, তোমার আর দুঃখ নেই, আমি বড় হয়ে গেছি, তোমাকে কে ভালবেসেছে, কে ভালোবাসে নাই, আর দুঃখ করো না।’