0
বায়োগ্রাফি : পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চৌবেড়িয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৫৫ সালে দীনবন্ধু পাটনায় পোস্টমাস্টার পদে যোগদান করেন। এ বিভাগে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পদে চাকরি করার পর তিনি সহকারী পোস্টমাস্টার জেনারেল হন। ১৮৭১ সালে সরকার তাঁকে ‘রায়বাহাদুর’ উপাধিতে ভূষিত করে। দীনবন্ধু কলেজে পড়ার সময় ঈশ্বর গুপ্তের সংস্পর্শে গিয়ে সংবাদ প্রভাকর, সাধুরঞ্জন পত্রিকায় কবিতা লিখতে শুরু করেন। তবে নাটক ও প্রহসন লিখেই তিনি সর্বাধিক খ্যাতি অর্জন করেন। দীনবন্ধু সমকালীন হিন্দুসমাজের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রহসন রচনা করেও খ্যাতি অর্জন করেন। সমাজের সাধারণ মানুষ সম্বন্ধে বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং তাদের প্রতি সহানুভূতিই তাঁর রচনার প্রধান প্রেরণা। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নাটক ও প্রহসন হলো: নবীন তপস্বিনী (১৮৬৩), বিয়ে পাগলা বুড়ো (১৮৬৬), সধবার একাদশী (১৮৬৬), লীলাবতী (১৮৬৭), জামাই বারিক (১৮৭২), কমলে কামিনী (১৮৭৩)।